সংবাদ শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদক ও ইলেকট্রনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ছেলে মেয়েরা মেধা কার্যক্রম থেকে সরে গিয়েছে: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাতি ওস্তাদ আশীষ খাঁ মারা গেছেন আবারও কমলো স্বর্ণের দাম আসছে তীব্র শীত, কমছে তাপমাত্রা সরাইলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের আনন্দ মিছিল শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক
শহর জুড়ে তুমুল সমালোচনা —/ রাতের আধাঁরে গুড়িয়ে দেয়া হলো প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি

শহর জুড়ে তুমুল সমালোচনা —/ রাতের আধাঁরে গুড়িয়ে দেয়া হলো প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি

স্টাফ রিপোর্টার, সময়নিউজবিডি            শহর জুড়ে তুমুল সমালোচনা —/ রাতের আধাঁরে গুড়িয়ে দেয়া হলো সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আলহাজ্জ্ব অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদের বাড়ি। 
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র জেলা সদর হাসপাতালের বিপরীতে।  
বাড়িটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি বেসরকারি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে। 
জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের জেলা সদর হাসপাতালের বিপরীতে অবস্থিত মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের সীমানা প্রাচীর একদল দূর্বৃত্তরা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। এসময় রোগীদের প্রতিক্ষালয়সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভাঙচুর করা হয়। ক্লিনিকের জায়গাটির মালিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. হারুন অর রশীদ। 
এ ঘটনায় শহর জুড়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনাটি টপ অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। এতে করে ক্লিনিকটিতে রোগীদের সেবা প্রদান বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারন নাগরিকদের মুখে মুখে এই ঘটনাটি। মানুষ বলাবলি করছে, কারা এরা, যারা রাতের আধাঁরে জেলা শহরের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বুলডোজারের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের খুঁটির জোর কোথায়। 


একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ জাকারিয়া ও ডা. মনির হোসেন সহ আরো কয়েকজন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী মিলে মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের পশ্চিম দিকে নতুন আরেকটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য জায়গা কিনেছেন। সেখানে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। মূলত ওই হাসপাতালের রাস্তা তৈরির জন্য মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের সীমানা প্রচীরসহ ভেতরে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।
সূত্রটি আরো জানায়, গত ৩ জুলাই ডা. জাকারিয়া পৌরসভায় সদর হাসপাতালের রোডে প্রস্তাবিত মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণপাশে পৌরসভার পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বি দখলকৃত রাস্তাটি (মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিক সীমানা প্রাচীরের দক্ষিণে পায়ে হাঁটার রাস্তা) সর্বসাধারণ ও সেবামূলক কাজে ব্যবহার করার জন্য দখলমুক্ত করার আবেদন করেন। জাকারিয়া ওই মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
জেলা সদর হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে প্রায় ৩০-৪০ ফুট দূরত্বে অবস্থিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আলহাজ্জ্ব অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদের মালিকানাধীন এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত বুলডোজার নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা ক্লিনিকের সীমানা প্রচীর, রোগীদের প্রতিক্ষালয়সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভাঙচুর ও লোটপাট করে। পাশাপাশি ক্লিনিকের ভেতরের গাছও করাত দিয়ে কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকাল সাতটা পর্যন্ত এই তাণ্ডব চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের এক্স-রে টেকনিশিয়ান শফিক মিয়া বলেন, রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে প্রায় শতাধিক লোক বুলডোজার নিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। তাদের বাধা দিতে গেলে পৌরসভা থেকে এসেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে মডার্ন এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের পরিচালক আজিজুল হক জানান, রাতের আঁধারে একদল দুর্বৃত্ত এসে ভাঙচুর চালিয়েছে। ক্লিনিকের দুটি ফটক, একটি জেনারেটর, একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন ও একটি এসি ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা। এছাড়া ক্লিনিকের তিনটি জেনারেটর, সাতটি এসি, একটি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন ও পাঁচটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে। 
মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকারিয়া দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 
এদিকে ক্লিনিকের জায়গার মালিক আলহাজ্জ্ব অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদও দেশের বাইরে অবস্থান করায় যোগাযোগ করা যায়নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির জানান, আমাদের কোনো লোক বুলডোজার নিয়ে যায়নি। আমাদের বুলডোজার নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। 

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।      

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com